দরিদ্র ও প্রান্তিক ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে ২৪ শতাংশ সুদের হার বা পরিষেবা মূল্য কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) চলমান সুদের হার সংশোধন করার উদ্দেশ্যে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সম্প্রতি।
কমিটির প্রথম সভা আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এমআরএ কার্যালয়ে।
প্রায় ৯ বছর পর ২০১৯ সালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্ষুদ্র ঋণের জন্য সর্বোচ্চ সুদের হার ২৪ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এর আগে, ২০১০ সালে এমআরএ প্রথমবারের মতো ক্ষুদ্র ঋণের জন্যে সুদ ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে বলেন এমআরএ পরিচালনা বোর্ড সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপেমন্ট ফোরাম (সিডিএফ), এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর প্রতিনিধিরা থাকছেন কমিটিতে।
ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থার (এমএফআইএস) প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা সিডিএফের চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার জানান, তারা পরিষেবা মূল্য কমাতে যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন।
তিনি দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে মহামারির কারণে সঙ্কটে পড়েছে। তাই তাদের পরিষেবা মূল্য হ্রাসে যেকোনো পদক্ষেপ এই খাতকে প্রভাবিত করতে পারে।
২০১৯ সালে সুদের হার পর্যালোচনা কমিটি দুই বছর পর অবনতিশীল ভারসাম্য পদ্ধতি অনুসারে সুদের হার পর্যালোচনা করার সুপারিশ করেছিল।
ইয়াকুব হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা মূল্যের যৌক্তিকতা নিয়ে সরকার বর্তমানে চিন্তাভাবনা করছে।
বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার বা পরিষেবা মূল্য অনেক বেশি। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এ হার কমানো দরকার।
তাদের মতে, চলমান ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা মূল্য দরিদ্র ঋণ গ্রহীতাদের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
সরকার দেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং এই খাতটির টেকসই উন্নয়ন বৃদ্ধি করতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬-এর অধীনে এমআরএ প্রতিষ্ঠা করেছিল।