Loading...

আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন

| Updated: May 14, 2021 16:48:53


আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন

মহামারী পরিস্থিতিতেশঙ্কা’ জাগানো ঈদযাত্রার পর সংক্রমণ পরিস্থিতি বুঝতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সেই সঙ্গে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে বাধ্যতামূকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পুলিশকেম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার‘ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “আরো এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি আমরা । কারণ, যেভাবে লোকজন ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে তা দেখেছি। বাড়ি থেকেও ফিরতে অন্তত ১০ দিন লাগবে।”

সংক্রমণের কী অবস্থা দাঁড়ায় বুঝতে পারছি না। এ জন্য মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি।”

প্রতিমন্ত্রী জানান, মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতায় পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি বলেন, “পুলিশ যে মাস্ক পরার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করবে, তাদেরকে ক্ষমতা না দিলে তো কাজ করা যাচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ সর্বশেষ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এরই মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বাড়তে থাকে।

মহামারী বিস্তারের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যাসর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়।

কঠোর বিধি নিষেধের লকডাউনের এক মাসের মাথায় ঈদ শেষে ফের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানালেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “

মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদ চলে আসায় মানুষ মরিয়া হয়ে পরিবারের কাছে ছুটছেন।”

সরকারের শত অনুরোধ, বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা- কোনো কিছুতেই ঠেকানো যায়নি জনস্রোত।“

এর আগে ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষ যেভাবে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াত করায়লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে দলবেঁধে এভাবে যাওয়া সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল’ বলে মন্তব্য করে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, ভারতে নতুন ধরনের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। এটি এখন নেপালে ছড়িয়ে গিয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এটি এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এই সময়ে এই ভাইরাস যদি বহন করে ঘরমুখো মানুষ গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে, আরও ১ হাজার ২৯০ জনের দেহে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

Share if you like

Filter By Topic