logo

কোভিড: যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন লটারিতে বিজয়ী পাবেন ১০ লক্ষ ডলার

Thursday, 13 May 2021


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিনীদের মধ্যে ভ্যাকসিনের আগ্রহ কমছে।  নানা দেশে মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য মাথা ঠুকলেও যুক্তরাষ্ট্রে দৃশ্যতঃ এর চাহিদা কম। তাই মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সরকার বের করেছে এক অভিনব পন্থা। খবর বিবিসি বাংলা’র।

তারা পাঁচ সপ্তাহের জন্য একটি লটারির আয়োজন করেছে যেখানে প্রত্যেক বিজয়ী ১০ লক্ষ ডলার করে পুরস্কার পাবেন।

ওহাইও রাজ্যের গভর্নর মাইক ডিওয়াইন বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন প্রাপ্তবয়স্করাই এই লটারিতে যোগদান করতে পারবেন।

তিনি বলেন, পাঁচটি লটারির প্রথমটির বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২৬শে মে।

কেন্দ্র সরকার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তার থেকে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট জনসংখ্যার ৫৮.৭০% মানুষ টিকা নিয়েছেন।

কিন্তু সে দেশে তিন কোটি ২০ লক্ষ মানুষ এখন করোনায় আক্রান্ত, যেটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ৪ঠা জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে ৭০% প্রাপ্তবয়স্ককে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা করেছেন।

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে টিকা নিতে আসা লোকের সংখ্যা কমছে। ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের দ্বিধার জন্যই এমনটা ঘটছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন।

এই পটভূমিতে মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নানা অঙ্গরাজ্যের সরকার নগদ অর্থ ছাড়াও বিয়ার, ডোনাট, নানা ধরনের খেলা দেখার জন্য ফ্রি টিকেট দিচ্ছে।

"আমি জানি অনেকেই হয়তো বলবেন, 'ডিওয়াইন, তোমার মাথা খারাপ হয়েছে!'" মি. ডিওয়াইন টুইটারে এক পোস্টে লিখেছেন, " ১০ লক্ষ ডলার লটারি পুরষ্কার দেয়া হবে অর্থের অপচয়।"

"কিন্তু এই মহামারির সময় আসল ক্ষতি হলো ভ্যাকসিন মজুদ থাকার পরও কেউ যদি সেটা না নেয়, এবং এজন্য যদি কোন প্রাণহানি ঘটে, সেটা।"

ওহাইও অঙ্গরাজ্য একই সঙ্গে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্যও আলাদা লটারির ব্যবস্থা করেছে।

তবে তারা ১০ লক্ষ ডলার নয়, তারা পাবেন ওহাইওর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর বিনে পয়সায় পড়াশুনা করার স্কলারশিপ।

গভর্নর ডিওয়াইন জানান, রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে টিকা নেয়া লোকের নাম নির্বাচন করা হবে।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, টিকা সম্পর্কে যারা 'বিভ্রান্ত', সরকার চেষ্টা করছে তাদের ভুল ভেঙে দেয়ার জন্য। তার পরিকল্পনায় ১২ বছর বয়সীদেরও টিকার দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে।