logo

কোরবানির ঈদে অনলাইনে কেনাকাটা করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম | Thursday, 24 June 2021


করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে কোরবানির ঈদে সবাইকে অনলাইনে কেনাকাটা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহায় আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে তিনি এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “কোভিড পরিস্থিতির ওপর লক্ষ্য রেখে পরে যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয়, সেজন্য এবার আগেই সভা করেছি।

“ঈদের বন্ধের সময় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জোরদার ব্যবস্থা রাখা হবে।”

চুরি, ডাকাতিসহ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ-র‌্যাবের টহল বাড়ানো হবে। স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।“

সরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাস বিবেচনায় অনলাইন কেনাকাটায় উৎসাহ দেওয়া হবে। অস্থায়ী পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হবে।

“পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন ও অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি যাতে না আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের সময় ব্যবসায়ীদের টাকা পরিবহনের জন্য পুলিশ সহযোগিতা করবে।“

যানজন নিরসনে আনসার মোতায়েনের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “যানজটপ্রবণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে।

“যেসব জায়গায় বেশি যানজট হয় যেমন, টঙ্গি থেকে গাজীপুরের রাস্তা এবং যমুনা ব্রিজের ওখানে যানজট কমাতে সড়ক পরিবহন বিভাগকে অনুরোধ করেছি।”

কোরবানির পশু পরিবহনের ট্রাক ও নৌযানে চাঁদাবাজি বন্ধে নজরদারি থাকবে উল্লেখ করে কামাল বলেন, “পশু বোঝাই যান জোরপূর্বক কোনো জায়গায় থামানো যাবে না।”

তিনি বলেন, “শিল্প এলাকায় নাশকতা বন্ধে গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ থাকবে। ফেরিঘাটে যাতে যানজট না হয় সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে, নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

“চামড়া কেনাবেচনার সিন্ডিকেট রোধে ঈদের আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।”

চামড়া পাচাররোধেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “ঈদের সময় নিত্যপণের মূল্য বাড়ানো বন্ধ করতে বা ভেজাল রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।”

একই সঙ্গে সড়ক, মহাসড়কসহ যে কোনো জায়গায় দুর্ঘটনা বন্ধে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, কুইক রেন্সপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৈরি পোশাকসহ সব শিল্প কারখানার বেতন নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের আবারও আহ্বান জানান।

সময়মত শ্রমিকদের বেতন দিতে মালিকদের প্রতিশ্রুতির কথাও জানান তিনি।

সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “লকডাউন বাস্তবায়নের সংস্থা নিরাপত্তা বাহিনী নয়, বাস্তবায়ন সংস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা অনুরোধ করছেন, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।

“তারা যেখানে লকডাউন করার কথা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে কাজ করে।”

পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সেবার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অতিমারি চলছে। যেসব গরু ব্যবসায়ীরা আসবেন, তারা যেন স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আসেন সে বিষয়ে আমরা নজর রাখব।”