logo

আগামী বর্ষায় ঢাকাবাসীকে ১৫ মিনিটের মধ্যে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে চাই: মেয়র তাপস

Wednesday, 22 February 2023


অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১৫ মিনিটের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বলেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

তাপস বলেন, "প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি এবং সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র নয়টি জায়গায় ব্যতীত আর কোথাও পানি জমে থাকেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হল, অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।"

বার্ষিক সূচি ধরে নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে বলে জানান মেয়র তাপস।

তিনি বলেন, "ওয়াসার হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর থেকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা সূচি ধরে সকল নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। সে কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি।

"আমরা লক্ষ্য করি, এই নর্দমাগুলো প্রত্যেক বছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমন বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালির সামগ্রী পাওয়া যায়, তেমনি পায়োঃবর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।"

জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রত্যাশা করে মেয়র বলেন, কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা নর্দমাগুলোতে পাওয়া যায় না।

 আমাদের নর্দমাগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য। আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা দয়া করে এসব বস্তু আমাদের নর্দমায় ফেলবেন না।"

এর আগে মেয়র ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজলা খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, তৃতীয় ঢাকা মেয়র কাপ আন্তওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ক্রিকেট খেলার ফাইনাল ম্যাচ উদ্বোধন এবং আদি বুড়িগঙ্গার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো এ সময় উপস্থিত ছিলেন।