দেশের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যানকে অধিকতর বাস্তবসম্মত করার স্বার্থে এবং তাতে জীবনযাত্রার ব্যয়ের প্রকৃত অবস্থা ভালভাবে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য নতুন ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তৈরির সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
সিপিডি মনে করে, ১৬-বছরের পুরোনো সিপিআই ব্যবহার করে ভোগব্যয়ের যে মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঠিক অবস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে “সাম্প্রতিক মুদ্রানীতি কী অর্থনীতির বর্তমান চাহিদা মেটাতে পারবে? সিপিডি'র তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া” শীষর্ক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিং-য়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই অভিমত ও সুপারিশ ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে ২০২১-২২ অর্থবছরের যে মুদ্রানীতি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তার ওপর সিপিডির লিখিত বিশ্লেষণও উপস্থাপন করা হয় গণমাধ্যমের সামনে। তাতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবে মানুষের জীবন ও জীবিকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্রয়ক্ষমতা ও আয় কমে যাওয়ায় গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে আগের চেয়ে অনেক বেশি হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির হারের যে উপাত্ত দেয়া হচ্ছে, প্রকৃত অবস্থা বা হার তার চেয়ে অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেব অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরের দেশের বাষির্ক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। নতুন ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির গড় হার ৫ দশমিক ৩০ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।