Loading...

অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি আয় ১১.১৯ শতাংশ কমেছে

| Updated: August 04, 2021 11:31:04


অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি আয় ১১.১৯ শতাংশ কমেছে

২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৩৪৭ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের জুলাই মাসে ছিল ৩৯১ কোটি ডলার।

রপ্তানির এই অর্জন আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। এই মাসে ৩৭২ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

প্রধানতম রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক জুলাই মাসে ধাক্কা খেয়েছে।

এ মাসে ৩০০ কোটি ডলারের উভেন ও নিট পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ছিল। কিন্তু রপ্তানি করা গেছে ২৮৮ কোটি ডলার।

ফলে আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১১ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ শতাংশ পিছিয়ে আছে পোশাক রপ্তানি। নিটপণ্যে ৫ শতাংশ এবং উভেন পণ্যে ১৭ শতাংশ পিছিয়ে আছে।

অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই রপ্তানিকারকদের কাছে।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুলাই মাসে ঈদের ছুটি ও লকডাউনের কারণে বেশ রপ্তানি প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্দরে কন্টেইনার জটের কারণেও রপ্তানি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।

এর বাইরে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার আর কী কারণ থাকতে পারে, তা প্রতিবেদন দেখে ও বিশ্লেষণ করে বলা যাবে, বলেন তিনি।

কৃষিপণ্য কিংবা হিমাহিত মৎস্য, হস্তশিল্প, পাটপণ্য, তৈরি পোশাকসহ অধিকাংশ রপ্তানি পণ্যই রয়েছে নেতিবাচক ধারায়।

প্লাস্টিক ও রাসায়নিক দ্রব্য রপ্তানিতে কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেলেও টাকার অংকে এই দুটি খাতের অবদান খুবই সামান্য। চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো। জুলাই মাসে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয়েছে ৯ কোটি ডলার।

পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি পরিস্থিতি আরও খারাপ। ওই মাসে ১২ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা থাকলেও মাত্র ৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা গেছে।

Share if you like

Filter By Topic