ঈদের ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার থেকে খুলে যাচ্ছে অফিস কল কারখানা। এ কারণে কাজে যোগ দিতে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছেন সাধারণ মানুষ।
দক্ষিণের জেলা থেকে আসা এক যাত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, অন্যান্য ঈদে তারা আরও দীর্ঘ সময় ধরে ছুটি কাটান। কিন্তু এবার লকডাউনের মেয়াদ সামনে আরও বাড়তে পারে, এমন আভাস পেয়ে তারা এক প্রকার তাড়াহুড়া করেই কর্মস্থলে ফিরে এসেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ই মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছিল। লকডাউনের এই সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৩শে মে পর্যন্ত করার কথা রয়েছে।
এই লকডাউনের আওতায় দুরপাল্লার পরিবহনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ঘাটগুলোয় লঞ্চ, স্পিডবোটসহ অন্যান্য যাতায়াত সেবা বন্ধ থাকায় দক্ষিণের জেলায় যাতায়াত করতে যাত্রীরা একরকম বাধ্য হয়েই ফেরি ব্যবহার করছেন।
এসময় যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করার অভিযোগ করেন।
এরপরও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় এবং দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়তে দেখা গেছে।
ঈদের আগে যেমন ভিড় ছিল - এবারে তেমন তীব্র ভিড় না হলেও মানুষের যথেষ্ট চাপ ছিল ঘাটগুলোয়।
তীব্র রোদের মধ্যে হাজারো মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কাজে যোগ দিতে অনেকে যেমন শহরের দিকে আসছেন, আবার অনেকে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে ঈদের এই দ্বিতীয় দিনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শহর ছেড়ে বাড়ির দিকে ছুটছেন।
দেখা যায় কোন একটি ফেরি ঘাটে ভিড়তেই মানুষ গাদাগাদি করে উঠে পড়ছেন।
ফেরিতে যাতায়াত করা এসব যাত্রীদের কাউকেই তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে এক যাত্রী গণমাধ্যমকে জানান যে, গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার কারণেই মানুষ গাদাগাদি ভিড় করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছে। গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিলে মানুষের দুর্ভোগ কমতো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা সহজ হতো।
লকাডাউন চলাকালীন এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র জরুরি পণ্য পরিবহনের কাজে ফেরি চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু ঈদের ছুটি কাটাতে সাধারণ মানুষকে সেই ফেরিতেই ভিড় করে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
ফেরি শুধুমাত্র যানবাহন পারাপারের জন্য হলেও এবারে দেখা গেছে যানবাহনের চাইতে মানুষই ফেরির অধিকাংশ জায়গা দখল করে আছে।