Loading...
The Financial Express

’বাজেটে অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত, তবে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে’

| Updated: June 15, 2021 17:42:07


’বাজেটে অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত, তবে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে’

করোনাভাইরাসের মহামারী সামলিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে বটে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি কর্তৃক আয়োজিত “বাজেট ২০২১-২২ পর্যালোচনা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বাজেটে সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রসমূহ জরুরী ভিত্তিতে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

“বাজেটে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে বটে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে।”

মূল প্রবন্ধের সারসংক্ষেপে আরো জানানো হয়. দেশে টিকাদান কর্মসূচীর চমৎকারভাবে আরম্ভ হলেও, টিকার সংকটে এখন তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

“উন্নত বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে (৭০-৮০%) টিকার আওতায় না আনলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দুরুহ হবে।” 

এতে আরও বলা হয়, জিডিপির তুলনায় কর সংগ্রহের হারে যেভাবে দেশ পিছিয়ে আছে, তা থেকে বের হতে যে ব্যাপক সংস্কার দরকার এবং যেভাবে করজাল বাড়ানো দরকার সে বিষয়ে বাজেটে তেমন প্রস্তাবনা আসেনি।

ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বাজেটে যথাযথ দিকনির্দেশনার প্রয়োজন ছিল বলে ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস এর উপরে কর্পোরেট কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশও রয়েছে এতে।

করোনা মহামারীতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে থাকা শিক্ষা খাত ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে প্রস্তাবিত বাজেট তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে আশংকা প্রকাশ করা হয় ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধে।

বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়, করোনার কারণে দেশে প্রায় দেড়কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে গেছে। আর এই দারিদ্র্যের প্রাথমিক শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন।

বিভিন্ন পর্যায়ের উল্লেখযোগ্যসংখক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা, নতুন করে প্রায় ৬ লক্ষ শিশুর শ্রমিক হিসেবে ফিরে আসা এবং এলাকা ভেদে ২৮ – ৪২ শতাংশ বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, এসব মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে ফেরাতে বিশেষ বৃত্তি চালু, শিক্ষাসহায়ক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বরাদ্দ বাড়ানো, শিক্ষাখাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে একটি জরুরী শিক্ষা সহায়তা তহবিল গঠন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর উপর প্রস্তাবিত আয়কর ও ভ্যাট আরোপ না করা এবং উচ্চশিক্ষা ব্যাবস্থা পুনঃকার্যকর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করাসহ বিভিন্ন দাবিও জানানো হয় ওয়েবিনারে।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।

সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি’র  চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিধি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন। প্য্যনেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সেন্টার ফর পিলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

Share if you like

Filter By Topic