Loading...

বৈঠক ‘ইতিবাচক’, ‘গঠনমূলক’ হয়েছে, বললেন বাইডেন-পুতিন

| Updated: June 17, 2021 18:34:52


জেনিভায় বুধবার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স জেনিভায় বুধবার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে থাকার মধ্যে ক্ষীণ আশা নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় হওয়া বৈঠক শেষ পর্যন্ত ‘ইতিবাচক’ এবং ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বুধবার জেনিভা ভিলার বাইরে করমর্দনের মধ্য দিয়ে প্রথম মুখোমুখি দীর্ঘপ্রতীক্ষিত বৈঠক শুরু করেন দুই প্রেসিডেন্ট। চার ঘন্টার কম সময়ের মধ্যেই তা শেষ হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

বৈঠকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা শুরু করা এবং প্রত্যাহার করা রাষ্ট্রদূতদের আবার একে অপরের দেশে ফিরিয়ে দিতে একমত হয়েছেন দুই নেতা।

বৈঠকের পর আলাদাভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তারা। সেখানেই বৈঠক নিয়ে মন্তব্য করেন পুতিন এবং বাইডেন দুইজনই। বাইডেন বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। ওদিকে, পুতিন বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন পুতিন। তিনি বলেন, বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। কোনও বৈরি মনোভাব ছিল না। একে অপরকে বোঝার আগ্রহ ছিল।

জো বাইডেনের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, বাইডেন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার পূর্বসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে তিনি অনেকটাই ভিন্ন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সহিংসতা ও মানবাধিকার নিয়ে তিনি সমালোচনা করেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় জেলবন্দি মার্কিন নাগরিকের প্রসঙ্গ টেনেছেন বলে জানান পুতিন। তিনি বলেন, বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি ‘আপোসরফা’ হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে বৈঠকে দুইপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করে যেতে রাজি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন।

তবে পুতিন জানান, বৈঠকে দুইজনের মধ্যে বন্ধুসুলভ কিছু ছিল না। তারা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে আমন্ত্রণও জানাননি। কেবল দুই দেশের কিছু বিষয় নিয়ে বাস্তবিক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হবে কিনা তা বলা কঠিন, তারপরও পারষ্পরিক আস্থার বিষয়ে ক্ষীণ আশা আছে।

পুতিনকে বৈঠকের সময় বাইডেন দুটো উপহার দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর একটি সানগ্লাস এবং অপরটি ক্রিস্টালের ষাঁড়ের মূর্তি।

পুতিনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ় গলায় কথা বললেও কণ্ঠে ছিল কিছুটা সম্প্রীতির সুর। বাইডেন বলেন, তিনি রাশিয়া কিংবা অন্য কারও বিরুদ্ধে নন। তিনি কেবল আমেরিকার জনগণের জন্য কাজ করছেন।

বাইডেনের কথায়, “আমাদের মধ্যে যেখানেই মতবিরোধ থাকুক, আমি চাই পুতিন এটা বুঝুন যে, আমি কেন বলছি, কী বলছি এবং কেন করছি, কী করছি। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছি, আমার এজেন্ডা রাশিয়া বা আর কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি কেবলই আমেরিকার জনগণের জন্য।”

বৈঠকের পুরো আলোচনাই খুব ভাল এবং ইতিবাচক হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দুইজনের সংবাদ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বাইডেন ও পুতিন দুইজনই বলেছেন, “দুই দেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এমনকী উত্তেজনার সময়েও তারা অভিন্ন লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।”

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন দুই নেতা।

Share if you like

Filter By Topic