সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার কাজু বাদাম। বাজারে এর চাহিদাও ব্যাপক। উচ্চমূল্যের এই ফসল পাহাড়ের পর এবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায়ও বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ বছরই প্রথমবারের মত এই ফসল ফলানো হয়েছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল হর্টিকালচার সেন্টারে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের এখানে কাজু বাদাম এলএ-৪, ভাসকরা ও এম-২৩ জাতের তিনটি মাতৃগাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে পাওয়া বীজ দিয়ে সেন্টারে আরও ৫০টি গাছ উৎপাদন করা হয়েছে।
“এ বছর সব গাছেই বাদাম ধরেছে। এটা এই সেন্টার প্রতিষ্ঠার আট বছরের মধ্যে অন্যতম সেরা সাফল্য। এখন এখান থেকেই এর আরও চারা উৎপাদন করা হবে। সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায়।”
কৃষক কাজু বাদাম উৎপাদন করে খোরপোষের কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
অর্থকরী ফসল হিসেবে সারাবিশ্বে কাজু বাদাম তৃতীয় স্থানে রয়েছে বলে জানান সেন্টারটির উদ্যান তত্ত্ববিদ এ এইচ এম রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ বাদাম খুবই সমাদৃত। বছরে ছয় লাখ কেজি কাজু বাদাম আমদানি করা হয়। প্রতি কেজি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
এ অঞ্চলের আবহাওয়া কাজু বাদাম চাষের উপযোগী বলে জানান এই উদ্যান তত্ত্ববিদ।