বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় চার কোটি টাকা গায়েব হওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বংশাল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাসুম বিল্লাহ বিবিসিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে ঢাকা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থেই তাদেরকে পুলিশে সপোর্দ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে চুরি বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ব্যাংক শাখাটির ইন্টারনাল অডিটে এই টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে মি. রহমান জানান, ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী প্রতিদিনের লেনদেন শেষে ভল্টের টাকার হিসাব করে থাকেন সংশ্লিষ্ট শাখার সিনিয়ার ক্যাশ ইনচার্জ।
বৃহস্পতিবার হিসাব করতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা প্রায় চার কোটি টাকার গড়মিল পান।
এরপর তিনি এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ব্যাংকের ম্যানেজার অপারেশন্সকে জানানো হলে পুনরায় হিসাব করা হয়।
সেখানেও হিসাবে টাকার অংক কম আসায় বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজারকে জানানো হয়। পরে ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন বলছেন ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তবে এতোগুলো টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি কি একদিনের হিসাবে বেরিয়ে এসেছে নাকি ব্যাংক ক্লোজিং এর আগে জুন মাসে যে অডিট হয় সেই হিসেবে সামনে এসেছে এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হিসেবের গড়মিল সংক্রান্ত ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
ইতিমধ্যে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভোল্টের চাবি ওই দুই কর্মকর্তার কাছে থাকায় ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী তাদেরকেই পুলিশে সপোর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. রহমান।
তবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এখনও চুরি বা অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আনা হয়নি।
কী কারণে এই হিসাবে গড়মিল হচ্ছে - সেটা তদন্ত করতেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৫৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক তদন্তে যদি হিসাবে গড়মিল বা অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সামনে আসে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে, পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, মামলা দায়ের হলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
সোর্স: বিবিসি বাংলা