Loading...

  কেনিয়ায় স্কয়ারের কারখানা চালু হচ্ছে ‘অগাস্টের মধ্যে’

| Updated: May 07, 2021 16:24:32


২০১৮ সালে কেনিয়ার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ২০১৮ সালে কেনিয়ার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

বাংলাদেশের প্রথম ওষুধ কোম্পানি হিসেবে বিদেশের মাটিতে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

স্কয়ার আশা করছে, আগামী চার মাসের মধ্যে কেনিয়ায় তাদের কারখানায় উৎপাদন শুরু করা যাবে।

পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে ইতোমধ্যে কারখানা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে তারা। অগাস্টের মধ্যে সেখানে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।

মহামারীর কারণে পিছিয়ে না পড়লে কারখানা স্থাপনের কাজ গত বছরই শেষ হওয়ার কথা ছিল বলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী।

জুনে সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রতিবেদনটি গত বছর নভেম্বরে প্রকাশিত হয়। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কারখানা স্থাপনের কাজ আবার পুরোদমে শুরু হবে। বাংলাদেশের বহুজাতিক কোম্পানি হতে তারা দ্রুত সব কাজ শেষ করবেন।

কেনিয়ার আথি নদীর তীরে কেনিয়া ইপিজেডে ওই কারখানার সর্বশেষ অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসপিএল কেনিয়ার উদ্যোক্তাদের একজন তপন চৌধুরী।

বুধবার সিপিডির এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেড নামে ওই কারখানার কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে এবং অগাস্টের মধ্য উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

“আজ (বুধবার) কেনিয়ার শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে প্রথম বৈঠক। কারখানা প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। ভবন, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে এটা আমরা চালু করতে পারব।“

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ স্কয়ার মহামারীর মধ্যেও গত দুই বছরে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

সে বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়েই সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন কেনিয়ায় তাদের বিনিয়োগের বিষয়টি সিপিডির ওই অনুষ্ঠানে বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে বৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে কেনিয়াতে একটি ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।“

বিদেশের রপ্তানি বাজারে সাফল্য পাওয়া স্কয়ার ফার্মা আফ্রিকার বাজারের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে কেনিয়ায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে।

বিশ্বের ৪৩টি দেশে ওষুধ রপ্তানিকারক এ কোম্পানি বিদেশে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে কেনিয়ায় কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করে ২০১৮ সালে।

ওই কারখানায় উৎপাদিত জেনরিক ওষুধের মাধ্যমে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার ছয় দেশের বাজার ধরার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে স্কয়ার ফার্মার সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে।

 কেনিয়ার ওই কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে রপ্তানির বাইরেও কোম্পানির আয় অনেক বাড়বে বলে প্রতিবেদেন আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১৬৫ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে স্কয়ার ফার্মা। গত বছর রপ্তানিতে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।   

স্কয়ার ফার্মার বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে এ প্রকল্পে মোট দুই কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে তারা। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার কারখানা স্থাপনের ব্যয় এবং ৩০ লাখ ডলার চলতি মূলধন।

এই খরচের ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের যোগান তারা দেবে কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে, বাকি অর্থ ঋণ নেবে।

মহামারীকালে ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, যা গত পাঁচবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে রেকর্ড ৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা টার্নওভার হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার টার্নওভার থেকে স্কয়ার ফার্মা নিট মুনাফা করে ১ হাজার ৫৬ কোটি টাকা।

২০১৭-১৮ হিসাব বছরে যা ছিল যথাক্রমে ৩ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ও ৮২২ কোটি টাকা; ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৩ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা ও ৭৭৯ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে ৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা ও ৭৫১ কোটি টাকা।

 

Share if you like

Filter By Topic