পদ্মা সেতুর সংযোগের এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের টোল প্লাজায় ধীরে টোল আদায়ের কারণে যানজটে দিনভর ভোগান্তিতে ছিলেন যাত্রী ও চালকেরা। টোল কাউন্টার বাড়ানোর পর বিকালে যানজট কমে আসে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল টোল প্লাজায় চারটি কাইন্টারে টোল আদায়ের পর যানজট শুরু হয়। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। পরে আরও তিনটি কাউন্টার চালু করলে ধীরে ধীরে যানজট কমে আসে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বগাইল টোল প্লাজার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখানে টোল আদায়ের ১০টি কাউন্টার রয়েছে। তবে প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা ফ্লাইওভারমুখী পয়েন্টে তিনটি কাউন্টার এবং বিপরীত দিকে পদ্মা সেতু অভিমুখী সড়কের একটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় শুরু হয়।
গত শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর থেকে সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে টোল প্লজায় টোল আদায় শুরু হয়।
যাত্রী ও চালকরা বলেন, টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে সেখানে রাত থেকেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা টোল প্লাজার সামনে যানজটে আটকে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নাগাদ যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং টোল আদায়কারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বেলা ১১টার দিকে টোল আদায়ের কাউন্টার বাড়ানো হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি হামিদউদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে আউটের জন্য তিনটি এবং সেতুতে ইনের জন্য একটি কাউন্টার চালু করা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে। এতে সেখানে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে গাড়ি চালক ও যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় তাদের সাথে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হলে ১১টার দিকে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
“এখন সাতটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।”
বরগুনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী আজিজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন আমরা ফেরি, লঞ্চ দিয়ে পদ্মা পার হয়েছি। এখন পদ্মা সেতু হয়েছে। দ্রুত ঢাকা যাওয়ার কথা। কিন্তু রাত থেকে টোল প্লজায় আটকে আছি কয়েক ঘণ্টা।
পটুয়াখালী থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন কলেজ ছাত্র আব্দুর রহিম এবং ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার শুক্রবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তারা বলেন, প্রথমবার পদ্মা সেতু পার হতেই তারা ভোগান্তির শিকার হন। আগে থেকে পরিকল্পনা করে টোল আদায় শুরু করলে এভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি হতো না।