Loading...

মিতু হত্যা: নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে দুই আসামীকে

| Updated: May 17, 2021 10:47:35


মিতু হত্যা: নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে দুই আসামীকে

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার নতুন মামলায় কারাগারে বন্দি দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহান এই আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।

এই দুই আসামি মোতালেব মিয়া ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেনসরাসরি হত্যাকাণ্ডে’ অংশ নিয়েছিলেন বলে গ্রেপ্তারের পর দাবি করেছিল পুলিশ।

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই থেকে তারা চাঞ্চল্যকর এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পিবিআই মিতু হত্যা মামলায় আনোয়ার ও ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত আজ (রোববার) শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেছে।

মিতু হত্যার ২০ দিন পর ২০২৬ সালের ২৬ জুন ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। ওই দিনই মহানগর হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তারা।

হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার বাদি হয়ে করা মামলায় চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছিল।

গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলাতেও তারা যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বর আসামি।

এই দু’জনসরাসরি হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত ছিলেন বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার জানিয়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর মোটরসাইকেলে যে তিনজনকে পালাতে দেখা গিয়েছিল, ওয়াসিম তাদের একজন। সেই (ওয়াসিম) মিতুকে গুলি করেছে। আনোয়ার অনুসরণকারীদের একজন ছিলেন বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন ইকবাল বাহার।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানায়, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন, নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করে।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহেতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করেছিল বলেও জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানায়।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এবং পরে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।

প্রকাশ্য সড়কে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

এদিকে মামলার প্রথম তদন্তকারী সংস্থা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ মিতু হত্যারহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তে আসে পিবিআই।

দেড় বছর তদন্তের পর গত ১২ মে পিবিআই জানায়, ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে খুন করিয়েছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

এরপর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুলেরসোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালু।

এদের মধ্যে বাবুল আক্তার বাদি হয়ে করা মামলায় জামিনে থাকা সাইদুল আলম শিকদার ওরফে শাক্কুকে গত সপ্তাহে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।

Share if you like

Filter By Topic