পদ্মায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ঈদের আগের দিনও ঘরমুখো মানুষের স্রোত নেমেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ফেরিতে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখায় পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পার হওয়ার একমাত্র ভরসা ফেরি। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসির ভাষ্য।
ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন বলেন, “লকডাউনে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রীদের চাপে ফেরি চালাতে হচ্ছে। এই নৌপথে চলাচলের জন্য ১৬টি ফেরি রয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত চলাচল করছে।
“ফেরিগুলোয় যানবাহনের চেয়ে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেশি। যাত্রীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পদ্মা পার হচ্ছেন।”
মাদারীপুরের শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, “যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
দুর্ঘটনা প্রশাসনও সতর্ক রয়েছে বলে শিবচরের ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাছাড়া যাত্রীদের যাতে হয়রানি না করা হয় সেজন কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক দল।
বুধবার অতিরিক্ত যাত্রীদের গাদাগাদিতে এই নৌপথে দুটি ফেরিতে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ২০ জন।