তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজারে প্রথম দিনের লেনদেনে সাধারণ সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে নতুন আদেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এতে করে আইপিতেও আসা ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কোনো শেয়ার ১০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারবে না।
বৃহস্পতিবার আইপিওতে আসা শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম পরিবর্তন করে এরকম আদেশ জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
আদেশ জারির পর থেকে তা কার্যকর হবে বলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আইপিওতে আসা শেয়ারের দাম প্রথম দিন আর ৫০ শতাংশ বাড়তে পারবে না।
প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়মে শেয়ারের দাম ওঠানামা করবে।
বর্তমান নিয়মে আইপিওতে আসা শেয়ার প্রথম লেনদেনে ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে এবং পরেরদিন আগের দিনের দামের উপর ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে।
তৃতীয় দিন থেকে সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়মে শেয়ারের দাম ওঠানামা করে।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ম কমিশন বলেছে, প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়মে শেয়ারের দাম ওঠানামা করবে।
সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়ম
>> ১ থেকে ২০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
>> ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
>> ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
>> ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
>> ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দামের কোনো শেয়ার দিনে ৫ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
>> ৫০০০ টাকার দামের বেশি শেয়ার দিনে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আইপিওতে আসা শেয়ারের কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ অনেক পুরনো। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এখন প্রথম দিনে থেকেই সার্কিট ব্রেকারের সাধারণ নিয়ম প্রযোজ্য হলে দাম আর বেশি বাড়ানো সম্ভব হবে না।