কানের ভেতর ইয়ার পিস আর অটোমেটিক কল রিসিভ হয় এমন সিম লাগানো ডিভাইস থেকে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্ন জেনে উত্তর বলে দেওয়া হতো হলের বাইরে থেকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
গোপন ‘স্পাই ওয়্যারলেস’ কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্ন পাঠিয়ে এভাবে উত্তর সরবরাহের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে একটি চক্র ‘কোটি টাকা’ হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
অভিনব এ প্রতারণার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন (৪২), রমিজ মৃধা (৩০), মো. নজরুল ইসলাম (৫০), ও মো. মোদাচ্ছের হোসেন (৬২)।
ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, সংঘবদ্ধ এ প্রতারক চক্রটি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করত।
“চক্রটি এজন্য ‘হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট’ ব্যবহার করত। এভাবে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নিশ্চয়তা দিয়ে চাকরী প্রার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।”
২০ মে দ্বিতীয় ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্রগুলো তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানান আল মঈন।
তিনি বলেন, “তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থান ও পরীক্ষার গার্ড সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করত।
“চক্রের অন্য সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি বা বেসরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের খুঁজে বের করে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান।”
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ১/২ লাখ টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হত।