মহামারীর কারণে বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদ সামনে রেখে মানুষের বাড়ি ফেরার চাপ বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ফেরিতে চাপ বেড়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
যাত্রীদের ভিড় সামলাতে না পেরে অনেক ফেরি কোনো বাহন না নিয়েই গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। ফলে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
লকডাউনে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও জেলার ভেতরে বাস চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়েও অনেকে ঢাকার দিক থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় আসছেন পদ্মা পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য।
সকালে ফেরি ঘাটে দিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই লোকজন গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে।
হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে দাঁড়িয়েই পদ্মা পার হচ্ছেন। অন্যদিকে ঘাটের দুই পাড়ে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে আছে।
শফিকুল বলেন, লকডাউনের কারণে এ নৌ-রুরে ৮৭টি লঞ্চের সবই বন্ধ। গত রোববার মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পর সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও কয়েকশ ট্রলারও বন্ধ রয়েছে। সেই পুরো চাপ পড়েছে ফেরিতে।
এছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের ফেরি বহরের ১৬টি ফেরির মধ্য তিনটি বিকল রয়েছে। ফলে ১৩টি ফেরি দিয়ে পারপার করে কুলানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।